শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় বিচারের সম্মুখীন করতে তাঁকে দেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার অনুরোধ জানিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তথ্য পাওয়া গেল।
গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সে দেশেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাঁকে দেশে ফেরানোর আহ্বান বাড়ছে। তবে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে অবগত আছেন এমন কয়েকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব৵ক্তিরা বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যাতে ভারতে অবস্থান করতে পারেন, সে পথ সুগম করতে সম্প্রতি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ওঠা গুঞ্জন নাকচ করে দেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড—মোটাদাগে এ কয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে। শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে বাংলাদেশ চিঠি পাঠিয়েছে বলে গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান।
হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ওঠা গুঞ্জন নাকচ
আজ বুধবার সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা হাসিনা (৭৭) ভারতে থাকলেও তিনি যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। ৫ আগস্ট ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে আসেন তিনি। পরে দিল্লির একটি নিরাপদ বাসস্থানে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আগে উল্লেখিত ব৵ক্তিরা বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যাতে ভারতে অবস্থান করতে পারেন, সে পথ সুগম করতে সম্প্রতি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ওঠা গুঞ্জন নাকচ করে তাঁরা বলেন, শরণার্থী ও আশ্রয় দেওয়ার মতো বিষয়গুলো বিবেচনার ক্ষেত্রে ভারতে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।
Comments
Post a Comment